মারমা শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি। শুক্র ও শনিবারের সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংসতার পর খাগড়াছড়িতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সহিংসতায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রাতে বৌদ্ধবিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে তিন যুবককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ও সহিংস পরিস্থিতির কারণে সাজেকে আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি পর্যটক সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পর খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছেছেন। পরে রাত ১২টার মধ্যে তারা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে খাগড়াছড়ি ছেড়েছেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ ছাড়াও খাগড়াছড়িতে জেলা সদরে মোতায়েন করা হয়েছে সাত প্লাটুন বিজিবি। সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে বন্ধ রয়েছে শহরের দোকানপাট।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। দুজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল কালবেলাকে বলেন, শনিবার দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও সংলগ্ন এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করছে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে উত্তেজিত দুপক্ষকে আমরা সরিয়ে দিই। নতুন করে যাতে সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।
মন্তব্য করুন