পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসনকে কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও পরবর্তী অবরোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পাহাড়ে শুধু সরকারি বাহিনীর কাছেই অস্ত্র থাকবে। এর বাইরে কারও কাছে অস্ত্র থাকতে পারবে না। চাঁদাবাজির কারণেই এ এলাকায় উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, উপজাতীয় নেতা রবি শংকর তালুকদার ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার ছাড়াও রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে (১৯) আটক করে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হলেও পরে তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। কিছুক্ষণ পর আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আসে।
মন্তব্য করুন