দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখমের পর ধানক্ষেতে ঘাতক যুবকের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন চলছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কাহরোল উপজেলার ১নং ডাবর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ওই যুবকের নাম সুব্রত রায় (৩০)। তিনি উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের হাসুয়া গ্রামের কৃষ্ণকান্ত রায়ের (হেপা) ছেলে।
জানা গেছে, সুব্রত রায় উপজেলার ১নং ডাবর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথমে স্ত্রী ও পরে শাশুড়িকে কুপিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী একটি ধান খেতে গিয়ে নিজেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দিলে কাহারোল থানা পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা বেগতিক দেখে মুমূর্ষু অবস্থায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত সুব্রত রায় সাত বছর আগে শংকরপুর গ্রামের সনুরাম রায়ের মেয়ে বিউটি রানীকে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সংসারে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হলে বিচ্ছেদে পরিণত হয়। তারপরও সুব্রত রায় স্ত্রীর টানে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া-আসা করত। তারই এক পর্যায়ে ঘটনার দিন স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হলে এক পর্যায়ে বউ ও শাশুড়িকে আঘাত করলে, জখম হয়ে তারা আহত হয়। পরে তার শাশুড়িকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর ও স্ত্রী বিউটি রানীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানা হেফাজতে নেয় কাহারোল থানা পুলিশ।
কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা কালবেলাকে নিশ্চিত করে জানান, ট্রিপল নাইনে ফোন করার পর কাহারোল থানা পুলিশ সেখান থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কাহারোল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার গুরুতর জখম সুব্রতকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
এটা পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন