শরীয়তপুরে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) পরিচালিত আলোচনা-প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (০৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় জেলা পৌরসভা মাঠে জাগো শরীয়তপুর নামক স্থানীয় সংগঠনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
এতে জেলা বিএনপি, জামায়েতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, জেলা ছাত্রদল, সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সাধারণ জনগণ অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালে তৎকালীন সরকার ৩টি নতুন বিভাগ গঠনের প্রস্তাবনা আনে—যাদের মধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অংশগুলোকে ফরিদপুর নামে বিভাগ করার সিদ্ধান্তটি ছিল। শরীয়তপুরবাসীর জোরালো প্রতিরোধ এবং ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ার কারণে তা তখন বাস্তবায়ন করা হয়নি।
পরে ২০২২ সালে ওই বিভাগের নামকরণ করে পদ্মা বিভাগ করার প্রস্তাব আসে; কিন্তু নিকার বৈঠকে তা পাস না হওয়ায় সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি। এবার (সাম্প্রতিক নিকার বৈঠকে) নতুন দুটি বিভাগ নিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করা হয়েছে, যা নিয়ে এখানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এ সময় বক্তারা উল্লেখ করেন, শরীয়তপুর জেলা রাজধানীর অত্যন্ত নিকটবর্তী হওয়ায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যগতভাবে ঢাকার সঙ্গে নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর তা আরও সুগম হয়েছে—তাই কোনো অবস্থাতেই শরীয়তপুরকে ফরিদপুর (অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের) কোনো বিভাগের সঙ্গে জোরপূর্বক যুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু ব্লকেড করা হবে।
সমাবেশে জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে সেই সিদ্ধান্ত আবার নেবে? আমরা ঢাকায় আছি, ঢাকাতেই থাকব—এর বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আমরা অবরোধ ও হরতাল করব, কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচএম জাকির বলেন, যদি শরীয়তপুরের জনগণকে জোর করে অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, আমরা সরকারকে গদিচ্যুত করে দেব।
তিনি জানান, দাবি না মানা হলে পদ্মা সেতু ব্লকেড করে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন