বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বলবেন বিসমিল্লাহ দাঁড়িপাল্লা, সিল মেরে বলবেন আলহামদুলিল্লাহ দাঁড়িপাল্লা, কেন্দ্র থেকে নেমেই বলবেন ইনশাআল্লাহ দাঁড়িপাল্লা। এভাবে যদি বাংলাদেশের ৩০০ আসনে হয় তাহলে কোরআনের আইনের জন্য একটা নীরব বিপ্লব হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে খুলনার পাইকগাছা কলেজ মাঠের প্রশাসনিক ভবনের পূর্ব পাশে ছাত্র ও যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন যত আসন্ন হচ্ছে প্রশাসন, সচিব ও সরকারের মধ্যে কিছু উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের ক্ষমতায় আনতে গোপন ষড়যন্ত্র করছে। আগামী নির্বাচনের আগেই সব দলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী যদি ক্ষমতায় আসে আমরা শাসক হবো না, সেবক হবো। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি আর একটি যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমরা মানবিক সমাজ গড়তে চাই। সব শ্রেণিপেশার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সুশাসন কায়েম করতে চাই।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, আমাদের কাছে যদি রাষ্ট্র ক্ষমতা আসে তাহলে প্রথম কাজ হবে শিক্ষাব্যবস্থাকে চরিত্র, নৈতিকতা, কারিগরি সবমিলিয়ে একটি নতুন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা। অর্থনীতিকে আমরা দুর্নীতিমুক্ত করব। ঘুষ, দুর্নীতি আমরা করব না কাউকে করতেও দিব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ ৫/৭ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আর যেন কখনো এমন না হয় সেজন্য আমরা কঠোরভাবে কাজ করব। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করব। বেআইনিভাবে কারও নামে মামলা হবে না। জামায়াতে ইসলামী পাস করে ক্ষমতায় গেলে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম হবে। ‘ওয়ান-টু-তে’ সব সমাস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এজন্য জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন : অনুমতি ছাড়া খুলনা মেডিকেলে সংবাদ সংগ্রহে পরিচালকের নিষেধাজ্ঞা
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াতে ইসলামী যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি প্লট, ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি ভোগ করবে না। সরকারি অর্থের হিসাব জনসম্মুখে দেওয়া হবে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা এমন ঘোষণা দিতে পারবে না।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাও. আবুল কালাম আজাদ। কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান। বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, আবুজার আল গিফারী, অ্যাড. শাহ আলম, মুন্সী মঈনুল ইসলাম, অমরেশ চন্দ্র মণ্ডল।
মন্তব্য করুন