সাতক্ষীরার ঘোনা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাকিরডাঙা সীমান্তের মেইন পিলার ৭-এর নিকটবর্তী স্থানে হাবিবুর রহমান (৩০) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে বিএসএফের গুলিতে হাবিবুর রহমান জখম হন বলে জানা গেছে। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরার ঘোনা সীমান্তের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, একই এলাকার মিজান ঢালীর ছেলে মাসুদের পক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় অবৈধ পথে ভারতের পাকিরডাঙা এলাকায় ফেনসিডিল আনতে যান ইমদাদুল, এশারুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন। রাত ১২টার দিকে তারা মাদক নিয়ে পাকিরডাঙা সীমান্তের ৭ নম্বর মেইন পিলারের শূন্যরেখার মধ্যে ঢুকে পড়ার পর পাকিরডাঙা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে হাবিবুর গুরুতর জখম হলে তার সহযোগীরা বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাবিবুরকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাবিবুর বিএসএফের হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদক পাচারকারী ইমদাদুল বলেন, তাকে খুলনায় ভর্তি করেছে তার মা হামিদা খাতুন। তবে তিনি নিজেকে মাদক আনতে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে হামিদা খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন কেটে দেন।
ঘোনা ইউপি সদস্য আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, হাবিবের মাথা, দুই হাতসহ কয়েকটি স্থানে ছররা গুলি লেগেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার সাহাবুদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। বিএসএফ রাবার বুলেট ছুঁড়তে পারে। তবে কোন সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
মন্তব্য করুন