

চাঁদপুরের মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবীর মোট ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের বিধিনিষেধ শেষে শনিবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা।
জেলেরা ইলিশ ধরতে গিয়ে তাদের জালে উঠে আসছে বিপুলসংখ্যক বড় পাঙাশ। যদিও আশা ছিল ইলিশের; কিন্তু পাঙাশ মাছ পাওয়ার ফলে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ, তারা মাছ বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আশানুরূপ ইলিশ না মিললেও বাজারে ছেয়ে গেছে বড় বড় পাঙাশে।
কোনো কোনো নৌকা থেকে ৪০ থেকে ৪৫টি পর্যন্ত পাঙাশ ঘাটে নামাতে দেখা গেছে। জেলেরা বলছেন, ১২ আঙুল ফাইল ডোম জালে আটকা পড়ছে পাঙাশ। এতে তারা খুশি। বড় ইলিশ না পেলেও পাঙাশ বিক্রি করে তারা লাভের মুখ দেখছেন।
পুরান বাজারের জেলে কাদির বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাল ফেলেও নদীতে ইলিশ পাচ্ছি না। ছোট ছোট জাটকা পাচ্ছি, যা দিয়ে তেল খরচও উঠছে না। তবে পাঙাশ পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছি।’
চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার কালবেলাকে বলেন, ‘এখানে সর্বনিম্ন ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি ওজনের বড় পাঙাশ পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব পাঙাশের দরদাম হচ্ছে কেজিতে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১০০ মণ পাঙাশ বিক্রির টার্গেট করছি। পদ্মার পাঙাশ সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা চাঁদপুর জেলাসহ সারা দেশে ব্যাপক। তাই এ জেলার পাঙাশ দেশের নানা স্থানেও পাঠানো হচ্ছে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ কালবেলাকে বলেন, ‘অভিযান সফল বলেই নদীতে ইলিশের পাশাপাশি বড় পাঙাশসহ নানা প্রজাতির মাছ বেড়েছে। তবে বড় ইলিশ না পাওয়া নিয়ে জেলেদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সামনে বড় বড় ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের সাবেক ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘নদীতে মা ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম ছেড়েছে। তাই টার্গেট অনুযায়ী জেলেরা নদীতে ইলিশ পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি। আর নদীর পানিতে পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ায় বড় বড় পাঙাশ পাওয়া যাচ্ছে।’
মন্তব্য করুন