

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানে ঘটছে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা। এসব ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছিল। সবশেষ ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজানের চারাবটতল এলাকায় যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে খুনের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি অভিযানে নামে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ১১টি বন্দুকসহ বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় খায়েজ আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন এবং মো. শফির ছেলে সোহেল নামে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল। রাউজান দিনের পর দিন খুনখারাবির জনপদে পরিণত হয়েছিল। এর আগে এমন অভিযান হয়নি। রাউজানের অন্যান্য ইউনিয়নে এ অভিযান অব্যাহাত রাখার আশা ব্যক্ত করেন তারা।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন তারা। এসময় ১১টি বন্দুক, ২৭টি দেশি ধারালো অস্ত্র, ৮টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও ১৫টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে গাঁজা ও বিদেশি মদ। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং আলমারি থেকে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার কামালের বিরুদ্ধে মারামারি ও চাঁদাবাজির ৩টি মামলা রয়েছে। সে বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে থানা-পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন