রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৮-১০ জনের হামলায় হামলায় আনোয়ার হোসেন মানিক নামে এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দায়রাপাকের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি আহতাবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
ছুরিকাঘাতে আহত আনোয়ার হোসেন মানিক মহানগর যুবলীগের জনশক্তি ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন মহানগর ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরিক, শাকিল, আশিক, সনেট, অপু, আরিফ, আদর ও রুবেল।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। মানিক মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রনির অনুসারী। যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মানিক। রাত ১১টায় মেহেরচণ্ডি এলাকায় পৌঁছালে তরিকের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা মানিকের পথরোধ করে বিভিন্ন ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। একপর্যায়ে তরিক এবং শাকিল বন্দুক বের করে। পরে তরিকের অন্য সহযোগী আশিক ও সনেট তার পেটে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে। এসময় তিনি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে হামলাকারীরা তার মাথায় ধারাল ছুরি, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে চলে যায়। এরপর আহত অবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা মানিক বলেন, যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার মাথা ও হাত ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের ছুরিকাঘাতে আমার মাথা বেশ গুরুতর জখম হয়েছে এবং তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।
নিজ কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসন্ন মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, মানিক যুবলীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মী। তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আসলে এই হামলা যুবলীগের সম্মেলনকেন্দ্রিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ওপর যারা হামলা করেছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ছিনতাইকারী। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন