ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এ বছর যে পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে এতে দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। একটি ‘অদৃশ্য হাত’ আলুর বাজার অস্থির করেছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তাপর্যায়ে আলুর দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে অধিদপ্তর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলু বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রসরাজ বাবু নামের এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ ব্যক্তি হিমাগারে ১০ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছেন এবং পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইল ফোনে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রসরাজের কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এ সময় পাকা রশিদ ছাড়া আলু বিক্রি করায় হিমাগারে তার সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা দামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোল্ড স্টোরেজ মালিক ও ব্যাবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন মহাপরিচালক। এতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন, পুলিশ মো. আসলাম খান ও মুন্সীগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
মন্তব্য করুন