

দেশের ১৫০টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
বেলুন উড়িয়ে উপস্থিত শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
এর মাধ্যমে দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে স্কুল কর্মদিবসে খাবার পাবে। খাবারের তালিকায় থাকবে দেশীয় ফলসহ, ফর্টিফাইড বিস্কুট, ১২০ গ্রাম ওজনের পাউরুটি, ডিম ও দুধ খাবার রুটিন হিসেবে দেওয়া হবে। সপ্তাহে ৫ দিন এ সুবিধার আওতায় থাকবে। নাটোর জেলার মধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলা এ কর্মসূচির আওতায় এসেছে।
এ উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গুরুদাসপুর উপজেলা খুবজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ।
প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, এর আগে কয়েক দফায় টেন্ডার জটিলতায় প্রাথমিকের মিড ডে মিল চালু করা যায়নি। দেশের দরিদ্রতার হার বিবেচনায় এনে প্রতি জেলার অন্তত একটি উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। তবে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার প্রতিটি উপজেলায়ই এ সুবিধার আওতায় থাকছে।
প্রধান অতিথি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রতিটি শিশুর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা লুকায়িত থাকে, কার মধ্যে কী সম্ভাবনা রয়েছে তা উপযুক্ত পরিবেশ ছাড়া তা জানা যায় না। ফলে আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিশুদের সম্ভাবনাগুলোকে বিকশিত করা। আর আমাদের শিশুরা যেন দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে, তারা যেন সমাজে অবদান রাখতে পারে, তারা যেন সমাজবিরোধী না হয়। এটাই শিক্ষার উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে দেবো, আর আপনারা তা দেখে রাখবেন। শিক্ষকদের সহযোগিতা করবেন। আমাদের এই স্কুল ফিডিং আপনারা দেখেশুনে রাখবেন। আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারলে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতি হবে।
পরে জেলা বিভাগের আয়োজনে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেয় প্রধান অতিথিসহ ও সম্মানিত অতিথি।
মন্তব্য করুন