

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একে একে ৫২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য শোনেন জামুকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনের দায়ের করা অভিযোগে ১০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘অমুক্তিযোদ্ধা’ দাবি করা হয়। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই জামুকার পক্ষ থেকে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত সকলকে নোটিশ পাঠানো হলেও প্রথম দিনের শুনানিতে হাজির হন ৫২ জন।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন, সদস্য মেজর (অব.) সৈয়দ মুহিবুর রহমান, হাবিবুল্লাহ আলম, মেজর (অব.) ফজলুর রহমান, সাদেক আহমেদ খাঁন, মেজর (অব.) আব্দুস সালাম এবং সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান।
গণশুনানি শেষে বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন জামুকার সদস্যরা।
এ সময় মেজর (অব.) সৈয়দ মুহিবুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১০৯ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ৫২ জন শুনানিতে উপস্থিত হয়েছেন। যারা আসেননি তাদের পুনরায় নোটিশ পাঠানো হবে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের বক্তব্য শোনা হবে।’
তিনি আরও জানান, অভিযোগগুলোর প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে সেগুলো জামুকার পূর্ণাঙ্গ সভায় উপস্থাপন করা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অভিযোগকারী আলতাফ হোসেনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযোগকারী সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কারও সুনাম বিনা কারণে ক্ষুণ্ন হলে আইনের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিও তার ন্যায়বিচার চাইতে পারবেন।
মন্তব্য করুন