

দীর্ঘ ১০ বছর সন্তানহীন থাকার পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার এক নারী একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে ও দুজন ছেলে। বর্তমানে নবজাতকরা একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন। মা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পিপলস হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। তাদের ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. সুমন ও এ্যানি আক্তার দম্পতি দীর্ঘ ১০ বছর সন্তানহীন ছিলেন। এই সময়ে তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন। সবকিছুতেই বিফল হয়ে পরে তারা রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমির পরামর্শে ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন (আইইউআই) পদ্ধতি গ্রহণ করেন।
এ পদ্ধতিটা হলো স্বামীর বীর্য সংগ্রহ করে দুই ঘণ্টা ধরে প্রক্রিয়া করা হয়। তারপর স্ত্রীর গর্ভে দেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়া ল্যাবে করা হয়।
ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি কালবেলাকে জানান, ‘দম্পতি দীর্ঘ ১০ বছর চেষ্টা করেও সন্তানের আশা পূরণ করতে পারছিলেন না। আমরা তাদের আইইউআই পদ্ধতি গ্রহণ করতে বলি। পদ্ধতিটি অবলম্বন করার এক মাসের মধ্যে পজিটিভ ফলাফল আসে। দশ বছরের মধ্যে এটি প্রথমবার পজিটিভ প্রেগন্যান্সি। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলে দেখা যায় ৪টি শিশুর গর্ভে রয়েছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় আরও একটি শিশুকে আবিষ্কার করি। এটি ছেলে। সত্যিই এটি ছিল অবিশ্বাস্য ও আনন্দের মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, নবজাতকরা ৩২ সপ্তাহেই জন্ম নিয়েছে। তারা অপরিপক্ব হওয়ায় ওজন কম – যথাক্রমে ১ কেজি, ১ কেজি ৪০০ গ্রাম, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম, ১ কেজি ৬০০ গ্রাম। বর্তমানে তারা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ৭২ সপ্তাহ গেলে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে।’
ডা. ফরিদা আরও জানান, ‘মো. সুমন ছোটখাটো ব্যবসা করেন। আর্থিকভাবে পরিবারটি অস্বচ্ছল। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
মন্তব্য করুন