

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, একটি মহল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর চায় না। একটি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায় না। যারা নির্বাচিত পার্লামেন্ট দেখতে চায় না, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশের নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার জন্য চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই আজকে ওসমান হাদিকে গুলি করেছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে, বন্দর কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চার দফা দাবিতে স্থানীয় নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
রিপন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। সরকার দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। তারিখ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একজন প্রার্থীকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। এটি কোনো ভালো আলামত নয়। ৫ আগস্ট নানা পর্যায়ে থানা থেকে লুট হওয়া কয়েক হাজার অস্ত্র গত দেড় বছরে উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। এমন একটি পরিস্থিতিতে দেশে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে এই সব অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আহ্বান জানাই।
এদিন বিকেলে শিমুলিয়ায় ঘাটের রিভার কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ ত্বরান্বিত করা, শিমুলিয়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার ও ভূমিদস্যু, বালুদস্যু, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে শিমুলিয়া ঘাট সংলগ্ন কুমারভোগ ইউনিয়নের রাণীগাঁও ও খড়িয়া গ্রামের ভিটেমাটি হাড়া কয়েকশতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ২০১৩ সালে শিমুলিয়া বন্দরঘাট বানানোর জন্য স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তির জমিজমা ও বসতবিটার জায়গা নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে সময় বন্দরের লোকজনের পক্ষ থেকে জায়গা অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। ওই পরিবারগুলো ভিটেমাটি হারিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি ভাড়া থাকত। দীর্ঘ ১২ বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচিতে ড. আসাদুজ্জামান রিপন আগামী সোমবারের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। অন্যথায়, সোমবারের পর বন্দর কার্যালয় ঘেরাও, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে বলে জানান।
মন্তব্য করুন