

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ (সদর) আসনে ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘বিএনপিই একমাত্র দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাতে পারে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর রাজপথে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী নিরন্তর লড়াই করেছে।’
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপি’র ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। যশোর নগর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ আয়োজনে বিডি হলে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র থাকলে নিরাপত্তা থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে, নির্বিচারের কেউ গুম-খুনের শিকার হবে না, গণমাধ্যমের লেখার স্বাধীনতা থাকবে। সেটি উপলব্ধি করে ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন করেছি।’
কর্মশালায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, ‘মানুষের প্রধান চাহিদা নিরাপত্তা এবং সংসার পরিচালনায় স্বাচ্ছন্দ্য। বিএনপি জনগণের ভোটে আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সেটি নিশ্চিত করতে চায়। যাতে করে মানুষ, ভীতিমুক্ত, মাদক, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশ বসবাস করতে পারে। মানুষ তার আয়ের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে সংসার চালাতে পারে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়। শ্রমিক তার ন্যায্যমজুরি পায়- আমরা সেটি নিশ্চিত করতে চাই।’
‘আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে সরকার গঠন করতে পারলে, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যারা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায়, তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেছেন, আগামী দিনে আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, চাকরির জন্য কাউকে দল করতে হবে না কিংবা কাউকে এক কাপ চা-ও খাওয়াতে হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কৃষক কার্ড প্রদান করা হবে। সেই কার্ডের মাধ্যমে কৃষক ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, সরকারি ভর্তুকি ও প্রণোদনা, স্বল্পমূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সুবিধা, স্বল্প ব্যয়ে সেচ সুবিধা, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ, কৃষি বিমা সুবিধা, ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রয়ের সুবিধা পাবে। কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ, মোবাইলে আবহাওয়া ও বাজার তথ্য, মোবাইলে ফসলের চিকিৎসা সুবিধা, মৎস্যচাষি ও প্রাণিসম্পদ খামারিরাও কৃষক কার্ডের সুবিধা পাবে। নারীদের জন্য ফ্যামেলি কার্ড করা হবে। যে কার্ডের প্রতি মাসে ২০০০-২৫০০ টাকার আর্থিক সহায়তা অথবা খাদ্য সুবিধা যথা- চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারবে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা তরফদার রয়েল। কর্মশালায় বক্তব্য দেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল বাশার সুজন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজু আহমেদ প্রমুখ। কর্মশালা পরিচালনা করেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন