

গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রেম ও বিয়েসংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে তালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আলেয়া বেগম এবং মেয়ে মেরিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম মেসবাহ উদ্দীন (৬২)। তিনি উত্তরা জয়নাল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, নিহত মেসবাহর মেয়ে মেরিনার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ছেলেকে বিয়ে করতে চাইলে বাবা মেসবাহ উদ্দীন আপত্তি জানান। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
অভিযোগ রয়েছে, একপর্যায়ে মা আলেয়া বেগম ও মেয়ে মেরিনা একসঙ্গে মেসবাহ উদ্দীনকে একটি কক্ষে আটকে তালা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মেসবাহ উদ্দীনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মরদেহ দ্রুত দাফনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে গোসল করানোর সময় বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দোষী হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন