

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার প্রাথমিক প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থায় সাময়িক অবনতি দেখা গেলেও বর্তমানে তা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তার ভাই ওমর বিন হাদি।
হাদির পরবর্তী চিকিৎসা প্রসঙ্গে তার ভাই বলেন, হাদির আরেকটি অপারেশনের প্রয়োজন রয়েছে, তবে বর্তমানে সেই অস্ত্রোপচারের উপযোগী শারীরিক অবস্থা তৈরি হয়নি।
এর আগে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাকে সরাসরি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। আগেই প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন থাকায় হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই তাকে ভর্তি করে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হয়। এ সময় ওসমান হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সাল।
উল্লেখ্য, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শরিফ ওসমান হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
পরবর্তীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে অনুষ্ঠিত এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই কনফারেন্সে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং হাদির ভাই ওমর বিন হাদি অংশ নেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। পাশাপাশি তার চিকিৎসা কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
এর আগে (১২ ডিসেম্বর) গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
এরপর রোববার রাত আড়াইটার দিকে নরসিংদীর সদর থানা এলাকা থেকে সামিয়া ও সিপুকে এবং মারিয়াকে সোমবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন