

আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই প্রত্যাবর্তনকে বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানাতে স্থান যাচাইবাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা টিমের সদস্য ও নিরাপত্তা প্রধানকে নিয়ে বিমানবন্দরে বৈঠক হয়েছে। মূলত তিনি (তারেক রহমান) বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে কীভাবে আসবেন সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পুরো সড়কপথের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও বৈঠক হবে। এখন অভ্যর্থনার জায়গাগুলো যাচাইবাছাই চলছে।’ বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সমাবেশ করতে গেলে যে উপস্থিতি হবে, সেটা হবে ঐতিহাসিক। সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য কমিটির সদস্যরা আপ্রাণ কাজ করছেন।’
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমি বাংলাদেশে যাচ্ছি।’
এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে এসে পৌঁছাবেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’
ওইদিন রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। রাত সাড়ে ৯টায় এ বৈঠক শুরু হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ছাড়াও অন্য নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসছেন। তার এ আগমনকে শুধু স্বাগত নয়, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটা বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই নির্বাচনের সময় জানানো হয়েছিল।’
তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন তিনি। বর্তমানে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে ১/১১ পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। লন্ডন থেকেই দল পরিচালনা করছেন তারেক রহমান। ১/১১’র সরকার এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শ’খানেক মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫টি মামলায় তার সাজাও হয়েছিল।
মন্তব্য করুন