

অবরোধের দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছেড়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে ঢাকামুখী ও চট্টগ্রামমুখী—দুই লেনেই আটকে থাকা যানবাহনগুলো একে একে চলাচল শুরু করে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে শনি আখড়া ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন। এতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে যান চলাচল।
জানা গেছে, রাতভর অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি জমে ছিল। ভোরে যান চলাচল শুরু হলেও চাপ বেশি থাকায় গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলছে। যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ও সায়দাবাদ এলাকার মোড়গুলোতে যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থাকা অনেক যাত্রী জানান, তারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন যানবাহনের ভেতরেই। অবরোধ প্রত্যাহারের খবরে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তবে ঘটনাস্থলে কোথাও ট্রাফিক পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। যানজটের বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ওসমান হাদির হত্যার বিচার এবং জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে। এ সময় চালক ও যাত্রীদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও অবরোধ তুলে নেওয়া হয়নি। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন