

খুলনা নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি যাচাই করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। এতে ৩০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রেই ঝুঁকি দেখছে পুলিশ।
কেএমপির এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, খুলনার ৬টি আসনে ভোটকেন্দ্র ৮৪০টি। এর মধ্যে মহানগরীর ভেতরে ৩০৯টি। খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের সব ভোটকেন্দ্রই মহানগরীর ভেতরে। এর বাইরে খুলনা-১ আসনের ১৫টি এবং খুলনা-৫ আসনের ২২ কেন্দ্র পড়েছে নগরীর সীমানায়। এসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মহানগরীর কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীর ভেতরের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকি বিবেচনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের ৮টি থানার ওসি গত মাসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। খুলনার ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪১টিতে নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। বাকিগুলোতে ক্যামেরা সংযোজন করা হবে। এ ছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে বলে জানিয়েছে কেএমপি।
কেএমপি সূত্রে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি যাচাই করতে ওই কেন্দ্রে কখনো গোলযোগ হয়েছে কি না, কোনো কারণে অতীতে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়েছে কি না, কেন্দ্রটি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে কি না, ভোটকেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় কি না, কেন্দ্রের চারপাশে সীমানা প্রাচীর অথবা নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে কি না, অপরাধ করে দ্রুত সটকে পড়ার আশঙ্কা কেমন– এসব বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা করা হয়েছে।
খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, কয়েক মাস আগে থেকেই তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখনো প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ যেন না হয়, সেজন্য করণীয়, গোলযোগ হলে কী করতে হবে– এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন