

২০২২ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নগরীতে তিন হাজার স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এই তিন হাজার মিটার বসাতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন বছর। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই মিটার বসানোর কাজ শেষ হয়। বর্তমানে চলছে বিলিং কার্যক্রম।
তবে মিটার বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারের টাকায় ডিজিটাল মিটার সরবরাহ, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ‘কারিগরি ও সফটওয়্যার প্রশিক্ষণ’ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সংস্থাটির তিন কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে থাকবেন স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন প্রতিনিধি।
মিটার বসানোর প্রায় তিন মাস পর চার কর্মকর্তার বিদেশ সফর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, ঠিকাদার বা সরবরাহকারীর অর্থায়নে বিদেশ সফর পরিহার করতে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পরিপত্র জারি করে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমন দে ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার লুৎফি জাহান। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধির নাম জানা যায়নি। আগামী সোমবার ১৫ দিনের সফরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তাদের দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে।
বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের প্রক্রিয়া অনেক আগেই অনুমোদন হয়েছে। এটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এ সফরে সরকারের বা ওয়াসার কোনো খরচ হবে না। আর এই প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এটা চলমান।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে হাতে নেওয়া এই পাইলট প্রকল্পে মিটার ছয় মাসের মধ্যে বসানোর কথা ছিল। তবে সেই কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। মিটার স্থাপনে খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। মিটার সরবরাহ করেছে ‘উইংস ইনভেস্টমেন্ট এলএলসি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর এর আগেও অনেকবার হয়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই বিদেশ সফর করেন কর্মকর্তারা। তেমনি ২০১৯ সালে উগান্ডা সফর করে আলোচনায় এসেছিলেন। সেবার ওয়াসার ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী ‘প্রশিক্ষণের’ জন্য উগান্ডায় সফর করেছিলেন। তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের আরও ১৪ কর্মকর্তা। এ সফর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে।
মন্তব্য করুন