বগুড়ার নন্দীগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে স্থানীয় বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে ১৮ বছর সভাপতি পদ দখলে রেখে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, অবৈধভাবে গঠিত মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন ও অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন বিজরুল এলাকার হাফিজুর রহমান। এতে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে কায়জার আলমসহ আরও ৯ জন ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা প্রশাসক এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ওই পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রেখে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়। যে কারণে নিয়মিত মানসম্মত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালেকের যোগসাজশে সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং কতিপয় ব্যক্তিদের সহায়তায় গোপনে নির্বাচন ছাড়াই অবৈধভাবে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ দখল করে রেখেছেন ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছেন। তার ভাই আব্দুস ছালাম বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। সেই সুযোগে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ রাজনৈতিকভাবে তার অবস্থান ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে প্রতিষ্ঠানকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নির্বাচনী তফসিল ও ভোটার তালিকা প্রকাশ না করেই সম্প্রতি গোপনে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়মনীতি মেনেই ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন