কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাথার দাম ছিল কোটি টাকা, সেই কমান্ডারকে হত্যা

দিল্লি পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত
দিল্লি পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কন্ধমাল ও গঞ্জাম জেলার সীমান্তবর্তী রামপা বনাঞ্চলে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ অভিযানে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত ওই নেতার নাম গণেশ উয়ে। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ওড়িশায় মাওবাদী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। তার মাথার মূল্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক কোটি ১০ লাখ রুপি। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই অভিযানে রাজ্যে মাওবাদী আন্দোলনের জন্য ‘মেরুদণ্ড-ভাঙা আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে পাঁচজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন নারী ক্যাডার রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৯টার দিকে রাম্ভা বন রেঞ্জে একটি সশস্ত্র মাওবাদী দলের মুখোমুখি হয় নিরাপত্তা বাহিনী। মাওবাদীরা প্রথমে গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়। দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে ছয়জন মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে গণেশ উয়েকেও শনাক্ত করা হয়।

সংঘর্ষস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি ভিন্নধর্মী রাইফেলসহ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা নিহত দলের উচ্চপর্যায়ের অবস্থান নির্দেশ করে।

গণেশ উয়েকে কে ছিলেন

পাক্কা হনুমন্তু, রাজেশ তিওয়ারি ও রূপা—এই নামগুলোতেও পরিচিত গণেশ উয়েকে তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতে (ডিকেএসজেডসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তথাকথিত ‘রেড করিডর’-এ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও স্থানীয় ইউনিটগুলোর মধ্যে প্রধান যোগাযোগসূত্র ছিলেন। পূর্বঘাট পর্বতমালায় মাওবাদী বিস্তারের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও তাকে চিহ্নিত করা হয়।

বর্তমানে সিপিআইর (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে গোনা যে কয়েকজন সদস্য ছিলেন, উয়েকে তাদের অন্যতম। বৃহস্পতিবার নিহত অন্য তিন মাওবাদীর পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।

এই অভিযানটি ২৩ ডিসেম্বর মালকানগিরিতে ২২ জন মাওবাদীর গণআত্মসমর্পণের ঘটনার পরপরই হলো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ওড়িশার পুলিশ মহাপরিচালক ওয়াই বি খুরানিয়া বলেছেন, সাম্প্রতিক এই সাফল্যগুলো রাজ্যকে ‘নকশালমুক্ত’ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদীমুক্ত করা।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ১ দশমিক ১ কোটি টাকার মাথাপিছু পুরস্কারপ্রাপ্ত নেতাকে নিষ্ক্রিয় করা এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। এটি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য ঐতিহাসিক সাফল্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিলেট–রাজশাহী ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএলের দ্বাদশ আসর

পে স্কেল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মচারীরা

রক্ত বের হওয়ার উৎস খুঁজতে মিলল মরদেহ

দেখে নিন বিপিএলের দলগুলোর অধিনায়কের নাম

চট্টগ্রাম বন্দর : আধুনিক ব্যবস্থাপনায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন ঠিকানা

রয়টার্সে তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ

চট্টগ্রামের মালিকানা নিজেদের হাতে নেওয়ার কারণ জানাল বিসিবি

শীতের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা

সাগরে ট্রলার ডুবিতে ৪ জেলে জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ২

এবার বিয়ে করলেন ডাকসু নেত্রী সেই তন্বী

১০

মাথার দাম ছিল কোটি টাকা, সেই কমান্ডারকে হত্যা

১১

বড়দিনে শান্তি আসুক দেশে : জয়া আহসান

১২

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জন নিহত

১৩

যেভাবে ‘জেবু’ নাম পেল তারেক রহমানের বিড়াল

১৪

গুলশানের বাসায় ফিরলেন তারেক রহমান

১৫

বাসচাপায় পথচারী নিহত, বাসে আগুন দিল বিক্ষুব্ধরা

১৬

রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপন

১৭

ওসমান হাদিকে বহন করা সেই রিকশাচালকের জবানবন্দি

১৮

বড়দিনে পুতিনের ‘মৃত্যু কামনা’ করলেন জেলেনস্কি

১৯

রংপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

২০
X