বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২৪৭তম স্থান অর্জন করেছে দেবীগঞ্জের শিক্ষার্থী মো. শুভ ইসলাম।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তাদের ওয়েবসাইটে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এতে মেধা তালিকায় ২৪৭তম স্থান অর্জন করে ত্রিপলি সাবজেক্টের জন্য মনোনীত হয়েছে দেবীগঞ্জের এই শিক্ষার্থী। শুভ পশ্চিম চিলাইপাড়া গ্ৰামের মো. হেলাল হোসেনের ছেলে।
শুভ ইসলাম ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিল এবং প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় সে তার মেধার সাক্ষর রেখেছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দেবীগঞ্জ পারফেক্ট একাডেমি থেকে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় এরপর নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি এবং ২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়।
এ ছাড়া ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শুভ ইসলামের অনুভূতি জানতে চাইলে সে জানায়, ‘আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, তিনি আমাকে এই সফলতা দান করেছেন। আমার এই সফলতার পিছনে আমার মা-বাবা এবং আমার শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। আমার মা-বাবা সব সময় আমার পাশে ছিল, আমাকে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছিল আর আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা আমাকে সর্বদাই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমি তাদের সবার কাছেই কৃতজ্ঞ।’
দেবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এই কৃতি শিক্ষার্থী বুয়েটের মতো অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটে ৮ম স্থান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৪০৪তম এবং গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ২৭৮তম স্থান অর্জন করে।
মো. শুভ ইসলামের অভূতপূর্ব সফলতার বিষয়ে নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. জসিম প্রামাণিক বলেন, ‘শুভ ইসলাম শুরু থেকেই একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল এবং সে তার মেধার সাক্ষর সব জায়গায় রেখেছে। ঢাবি, রাবি এবং গুচ্ছের পর এবার সে বুয়েটের মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে। এটা নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় তথা দেবীগঞ্জবাসীর জন্য একটি আনন্দের বিষয় এবং শিক্ষক হিসেবে তিনি গর্বিত, আমার শিক্ষার্থী দেশ সেরা বিদ্যাপীঠে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।’
মন্তব্য করুন