বরগুনার তালতলীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। অপরদিকে মামলাটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।
গত বুধবার (৪ অক্টোবর) বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মোট চারজনকে আসামি করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের বান্দরগাছিয়া গ্রামের মৃত হারুনের মেয়ে মোসাম্মৎ শিরিন। তবে মামলা দায়েরের বিষয়টি ৬ অক্টোবর জানাজানি হয়।
ওই মামলায় আসামিরা হলো এশিয়ান টিভির ঢাকা প্রতিনিধি মাজহারুল আমিন শুভ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিক সুরুজ আহম্মেদ, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া গ্রামের রফিক শিকদারের ছেলে রাসেল শিকদার ওরফে নীরব ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার বরগুনার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম। তবে মামলার অভিযোগে পিতার নাম না থাকায় এশিয়ান টিভির ঢাকা প্রতিনিধি মাজহারুল আমিন শুভ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিক সুরুজ আহম্মেদকে বাদ দিয়ে বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বাদী মোসাম্মৎ শিরিন উল্লেখ করেন, তার ও ওই ডাক্তারের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে তারা ছবি তোলেন। সেই ছবি ব্যবহার করে কালবেলা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে মামলার ১ নম্বর ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের মানহানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কালবেলা অনলাইন পেজে ‘চিকিৎসকের প্রেমের ফাঁদ, শারীরিক সম্পর্কের পর সব হারালেন রিসিপশনিস্ট’ এই শিরোনামে ওই চিকিৎসক ও মামলার বাদীর একান্ত মুহূর্তের ধারণ করা ছবি ও ভিডিও দিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, মোসাম্মৎ শিরিন ওই নারী র্যাব-৮ বরাবর ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগপত্রে যা উল্লেখ করা আছে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করে। এর কয়েক দিন পরেই ওই নারী সুমন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজনদের সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মন্তব্য করুন