দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিদ্যুৎহীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ছবি : কালবেলা
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ছবি : কালবেলা

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি উপকারভোগীরা। এতে বিদ্যুৎ ছাড়া দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তারা।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সরজমিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গজপুরী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯টি ঘরের মধ্যে ২টি ঘরে পরিবার বসবাস করছেন। বাকি ঘরগুলোতে এখনো থাকতে শুরু করেনি উপকারভোগীরা। ঘরগুলোতে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। কিছু ঘরের খোলা জানালা দিয়ে দেখা যায় চৌকি এবং অন্যান্য আসবাবপত্র রাখা হলেও কেউ সেখানে থাকে না।

এদিকে যেই দুটি ঘরে উপকারভোগীরা থাকতে শুরু করেছে সেগুলোতেও নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। দিনের বেলায়ও ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকে না। রাতের কুপি জ্বলানো ছাড়া আলোর কোনো ব্যবস্থা নেই।

এ বিষয়ে আব্দুস সালাম নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক উপকারভোগী বলেন, এক বছর ধরে থাকছি এখানে। অথচ এখনো কোনো ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ ছাড়া অনেক কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছি।

আসমা বেগম নামে আরেক উপকারভোগী বলেন, এই যে এত গরম গেল অথচ ঘরে বিদ্যুৎ নেই। ঝড়বৃষ্টির দিনে অনেক কষ্ট করে বাতি জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়। আমরা চাই দ্রুত যেন বিদ্যুৎ সয়যোগ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া উপকারভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর আর কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় দুটি পরিবার ছাড়া এই ঘরগুলো এখনও ফাঁকা।

এ বিষয়ে ফারজানা আক্তার নামে এক উপকারভোগী বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষণের সময় বলা হয়েছিল সবজি বাগান করার উপকরণ দেবে। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের আর কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয়নি এবং কোনো ধরনের সহযোগিতাও করা হয়নি। এক বছর ধরে বিদ্যুৎ নেই তাই আমরা এখনো থাকা শুরু করিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল মোমিন বলেন, আমরা এই বিষয়ে অবগত আছি। মূলত ওই এলাকার মানুষ নীলফামারীর বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করেন। আমরা দেবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের মাধ্যমে নীলফামারী বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য আমারা চেষ্টা করছি। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য আলাদা করে কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবুও উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সব আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেওয়া সম্ভব না হলেও বেশকিছু প্রকল্প এলাকায় শাকসবজির বীজ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায় আছি। আর আমি নতুন জয়েন করেছি। সেখানে গিয়ে সব খোঁজখবর নিয়ে তারপর জানাতে পারব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পের ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ও কাঁচা রাস্তা থাকবে না : কাজী আলাউদ্দিন

বিএনপিতে যোগ দিল চার শহীদ পরিবার

বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল

আমার কর্মের ওপর আমার জান্নাত নির্ভর করবে : এ্যানি

গভীর সংকটের অশনিসংকেত / আরাকান আর্মির ‘মাদক সন্ত্রাসে’র কবলে বাংলাদেশ

ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছর পরীক্ষার নামে উপহাস করেছে : ড. মারুফ

খালেদা জিয়া আইসিইউতে

সামাজিক মাধ্যমে নারীর প্রতি অশ্লীল মন্তব্যও অপরাধ : হুমা

নিরাপদ খাদ্য আইনে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

১০

অবসরে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান

১১

রিয়ালকে আল্টিমেটাম দিলেন ভিনিসিয়ুস

১২

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চলবে স্বাধীনভাবে : শেখ মো. আব্দুল্লাহ

১৩

কোন সময়ের স্বপ্ন সত্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? যা বলছেন আলেমরা

১৪

শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা

১৫

এক নেতাকে ‘সুখবর’ দিল যুবদল

১৬

বিএনপি ক্ষমতায় এলে দোহার-নবাবগঞ্জে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেন খন্দকার আবু আশফাক

১৭

ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর সতর্কবার্তা

১৮

বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখল ভারত

১৯

ব্লুটুথ হেডফোন নাকি সাধারণ হেডফোন, কোনটি ভালো জানেন?

২০
X