রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুই ইউনিয়ন কৃষক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করায় উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে জেলা কমিটি। শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আবু বককার খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) উপজেলার উজানচর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। কারণ হিসেবে তারা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তবে এই সিদ্ধান্তকে ‘অসাংগঠনিক ও অগঠনতান্ত্রিক’ উল্লেখ করে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মৃধা পাল্টা পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল হোসেন রোববার সকালে বলেন, ‘গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সংগঠনবিরোধী কাজ করেছেন। এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা কার্যালয়ে জরুরি সভায় হাবিবুরকে সাময়িক সময়ের জন্য সংগঠনের সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পদক সাইফুল ইসলামকে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অব্যাহতি পাওয়া হাবিবুর রহমান বলেন, ‘২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর সভাপতির দায়িত্ব পাই। তখন উজানচর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি আবুল প্রামাণিককে উপজেলা কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এদিকে তিন বছর আগে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এতে সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় কমিটি বিলুপ্ত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম মৃধাকে কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করতে তাগিদ দিলেও কর্ণপাত করেননি। উল্টো সভাপতিকে (আমাকে) বাদ দিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ করেন।’
উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মৃধা বলেন, তিনি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে যান। হাবিবুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী এরাদত আলীর সভা-সমাবেশ করছেন। কিন্তু সংগঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিলে নিতে হয়। তাকে না জানিয়ে সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুটি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করায় তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন