বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে বছরের পর বছর সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মিজান ঢালীর বিরুদ্ধে। এদিকে মিজানের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্কের কথা শুনে বিয়ের দাবিতে গতকাল সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে মিজান ঢালীর বাড়িতে এসে উঠেছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর চড়াও হয় ও হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে ওই তরুণীকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজান ঢালী আমিন বাজার ঢালী বাড়ির আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণী পার্শ্ববর্তী ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী তরুণী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মিজান ঢালীর। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর স্বামী স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে আসছে। কিন্তু কিছুদিন আগে তরুণী জানতে পারে মিজানের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক আছে। তাই তিনি মিজানকে বিয়ে করার উদ্দেশে ওর বাড়িতে এসে ওঠে। এতেই ঘটে বিপত্তি। মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে চড়থাপ্পড় মেরে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশ সিরাজ পেদা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী কালবেলাকে বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে বহুবার স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। তাই আমি কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওর বাড়িতে এসে উঠি। এ ছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই। মিজান যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে মৃত্যু ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।
মিজান ঢালীর মা লুৎফা বেগম কালবেলাকে বলেন, ও আমার জন্মের সন্তান হলেও এখন আমি ওর পরিচয় দিতে চাই না। কারণ মিজান আমার মানসম্মান সব কিছু মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদী জিল্লু কালবেলাকে বলেন, আমার জানামতে মিজানের সঙ্গে এই তরুণীর প্রায় ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তাদের এ বিষয়টি এলাকার বেশিরভাগ মানুষ জানে। গতকাল রাতে মেয়েটি যখন ছেলের বাড়িতে আসে তখন মিজান কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে আমি উভয় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন