ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় কাজল মিয়া নামে এক শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কাজল উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুধনই গ্রামের রুবেল মিয়ার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বেশ কিছুদিন ধরে ফোনে হুমকি দিয়ে আসছিলেন রাজধানীর মহানগর উত্তর যুবলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য শেখ আল আমিন, ভাষানটেক ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও ধোবাউড়া উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজল মিয়া। চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও মারধর করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা।
এ ঘটনায় ধোবাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া। অভিযোগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিক লীগের নেতা কাজল মিয়া অভিযোগকারী রুবেল মিয়ার ছোটভাই মোজাম্মেল হোসেনকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল জানান, বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে কাজল আমাকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাড়ি গেলে হত্যা ও চামড়া তুলে ফেলার হুমকিও দেয় কাজল। এ অবস্থায় পুরো পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।
ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া বলেন, আমার কাছে চাঁদা চেয়ে বারবার আমাকে মারধরের হুমকি দিয়েছে কাজল মিয়া। এতে কাজকর্ম করতে এবং বাসা থেকে ভয়ে বের হতে পারছি না। এমনকি অভিযোগের বিষয়ে জানতে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছে গেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সামনেও আমাকে হত্যা ও হাত পা ভাঙারও হুমকি দিয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজল মিয়া বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আলামিন শেখের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। ওনার বাসায়ও আমি যাই। তার ছোট ভাই মোস্তফার সঙ্গে শেয়ারে ডিমের ব্যবসা করতো রুবেল। ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা রুবেলের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা পেত। কিন্তু সে টাকা না দিয়ে তার বাসা ছেড়ে চলে আসে। এ বিষয়টি মোস্তফার বড় ভাই আলামিন শেখ আমাকে জানালে আমি রুবেলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে বলি। এ ছাড়া আর কিছুই না। আমার এখানে এএসআই এমদাদুল হক আসছিল সবকিছু জেনেশুনে গেছে।
রুবেলের ভাইকে ফোন করে গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুবেলের ভাই আমাকে বলেছে আমি কত টাকা কমিশন পাব, এটি বলার পর আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে ধোবাউড়া থানার ওসি টিপু সুলতান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন