১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭ ভোটের বিশাল ব্যবধানে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে অপর তিন মেয়র প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন।
বুধবার (২১ জুন) রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের ঘোষিত মেয়র প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক ফলে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী তারা এই জামানত হারান।
জামানত হারানো মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মুরশিদ আলম ফারুকী, জাকের পার্টির গোলাপফুলের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা) প্রার্থী মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। এ ছাড়া জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ভোট ও জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রাপ্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। রাসিক নির্বাচনে চার মেয়রপ্রার্থী ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ৪৭০ ভোট। কিন্তু খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়া অন্য তিন মেয়রপ্রার্থীর কেউই এই ভোট পাননি।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এ ছাড়া বাতিল ভোটের সংখ্যা আরও ২ হাজার ৭০।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন আগেই ভোট বর্জন করেছি। সঙ্গত কারণে আমিসহ ইসলামী আন্দোলেন নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা অনেকেই ভোট দেয়নি। এজন্য ভোট বর্জন না করলে আরও বেশি ভোট পেতাম। জামানত বাজেয়াপ্ত হতো না। বর্জনের পরও ভোটাররা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ভোট বর্জন করলে জামানত রক্ষার আশা করাও উচিত না।
জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার বলেন, আমরা তো বিশ্বাস করে ভোটে পোলিং এজেন্টই দেইনি। জামানত কোনো বিষয় না। আমাদের আদর্শ প্রচারের জন্যই ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা সফল হয়েছি। মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। জনগণকে ভালোবাসা দিয়ে যেতে চাই।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ইভিএমে ভোট হওয়ায় আমার ভোট কমেছে। কেননা ইভিএম এখানে যেগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলো রিজেক্টেড। এটি একটি গেইম ছিল। অনেক ভোটার ইভিএম অকেজো হওয়ার কারণে ভোট দিতে পারেনি। তারপরও যে ফল এসেছে, তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা করেছি জনগণের পাশে থাকার, থেকেছি, থাকব। জামানত কোনো বিষয় না।
মন্তব্য করুন