রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লিটনের জয়ে জামানত হারালেন তিন মেয়র প্রার্থী

জামানত হারানো তিন মেয়র প্রার্থী। ছবি : সংগৃহীত
জামানত হারানো তিন মেয়র প্রার্থী। ছবি : সংগৃহীত

১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭ ভোটের বিশাল ব্যবধানে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে অপর তিন মেয়র প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন।

বুধবার (২১ জুন) রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের ঘোষিত মেয়র প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক ফলে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী তারা এই জামানত হারান।

জামানত হারানো মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মুরশিদ আলম ফারুকী, জাকের পার্টির গোলাপফুলের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা) প্রার্থী মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। এ ছাড়া জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ভোট ও জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রাপ্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। রাসিক নির্বাচনে চার মেয়রপ্রার্থী ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ৪৭০ ভোট। কিন্তু খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়া অন্য তিন মেয়রপ্রার্থীর কেউই এই ভোট পাননি।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এ ছাড়া বাতিল ভোটের সংখ্যা আরও ২ হাজার ৭০।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন আগেই ভোট বর্জন করেছি। সঙ্গত কারণে আমিসহ ইসলামী আন্দোলেন নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা অনেকেই ভোট দেয়নি। এজন্য ভোট বর্জন না করলে আরও বেশি ভোট পেতাম। জামানত বাজেয়াপ্ত হতো না। বর্জনের পরও ভোটাররা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ভোট বর্জন করলে জামানত রক্ষার আশা করাও উচিত না।

জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার বলেন, আমরা তো বিশ্বাস করে ভোটে পোলিং এজেন্টই দেইনি। জামানত কোনো বিষয় না। আমাদের আদর্শ প্রচারের জন্যই ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা সফল হয়েছি। মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। জনগণকে ভালোবাসা দিয়ে যেতে চাই।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ইভিএমে ভোট হওয়ায় আমার ভোট কমেছে। কেননা ইভিএম এখানে যেগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলো রিজেক্টেড। এটি একটি গেইম ছিল। অনেক ভোটার ইভিএম অকেজো হওয়ার কারণে ভোট দিতে পারেনি। তারপরও যে ফল এসেছে, তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা করেছি জনগণের পাশে থাকার, থেকেছি, থাকব। জামানত কোনো বিষয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজা যুদ্ধবিরতিতে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে : ট্রাম্প

পুলিশের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনতাই, এসআইসহ আহত ২

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বিক্ষোভে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

০৯ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

একাধিক দেশের পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা করে: আসিফ মাহমুদ

শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য সোচ্চার হতে হবে : তাসলিমা আখতার

স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

১০

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

১১

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

১২

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

১৩

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

১৪

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

১৫

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

১৬

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

১৭

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

১৮

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১৯

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

২০
X