ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি গত দুদিন থেকে বিপৎসীমার প্রায় কাছাকাছি উঠানামা করছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে রেকর্ড করা হয়।
এর আগে বুধবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে রেকর্ড করা হয়। পরে দুপুর ১২টায় কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিপৎসীমার প্রায় কাছাকাছি উঠানামা অব্যাহত থাকায় যে কোনো সময় আবারও পানি বৃদ্ধির আশংকা করছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।
এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ফের প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
মন্তব্য করুন