খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ, খুলনায় বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) লোগো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) লোগো।

ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। একই সঙ্গে খুলনা মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা আত্মগোপন শুরু করেছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে এ দুইশ’ নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন, ৪নং টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ।

খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে না যেতে বিএনপির মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এ গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।’

এদিকে কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হয়রানি করছে পুলিশ।

কয়রা উপজেলা যুবলীগের সদস্য সচিব মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘কয়রা উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ মঙ্গলবার রাত থেকে তল্লাশি চালিয়েছে। বাড়ির বৃদ্ধ ও নারী সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। হঠাৎ করেই পুলিশের এমন তৎপরতা শুরু হয়েছে ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে।’

এ ছাড়া বিএনপি নেতা শরিফুলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতেও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।

কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা ছিল। কাউকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সচেষ্ট আছে।’

এ বিষয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশ ঠেকাতে খুলনায় পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযানে নেমেছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

এ ছাড়া হামলা মামলা করে মহাসমাবেশ ঠেকানো যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১০

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১১

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১২

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৩

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৪

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৫

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

১৬

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১৭

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১৮

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১৯

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

২০
X