পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন ১০ জন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে ফরম বিক্রি শুরু হয়। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত দলীয় ফরম সংগ্রহ শেষে জমা দিয়েছেন তারা। তারা সবাই নৌকার মাঝি হতে চান।
এদিকে বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষের দিকে। আগামী জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে কারণে এ আসনে উপনির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি শপথ গ্রহণ করলেও সংসদে বসার সুযোগ পাবেন না। তবুও একমাসের জন্য এমপি হতে আগ্রহী দলটির নেতারা।
পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া গত ২১ অক্টোবর মারা যাওয়ার পর এ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। শূন্য হওয়া আসনটিতে গত ২৪ অক্টোবর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ২৬ নভেম্বর হবে নির্বাচন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, এ উপনির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করতে শনিবার কিংবা রোববার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হতে পারে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. সুলতান আহমেদ মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. গোলাম সরোয়ার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আশরাফ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপ কমিটির সদস্য রাজিব পারভেজ ও সংবাদ পাঠিকা নাজনীন নাহার।
এ ব্যাপারে প্রয়াত এমপি শাহজাহান মিয়ার ছেলে অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমার পরিবার সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কখনো আমাদের পরিবার কারও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি, উপকার ছাড়া। বাবা অসুস্থ থাকাকালীন পরিবারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইবো। তবে হঠাৎ বাবার মৃত্যুর পর আমরা শোকাহত হয়ে পড়ি। তবে যেহেতু উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে তাই আমি নেত্রীর কাছে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনয়ন চেয়েছি।’
মন্তব্য করুন