গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনাকাঙ্ক্ষিত আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ৪৩টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া আগামীকাল থেকে গাজীপুরের সব কারখানা খুলে দিতে কারখানায় মালিকদের অনুরোধ করেন জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় তিনি বলেন, গার্মেন্টসের মালিকরা অভিভাবক এবং শ্রমিকরা তাদের অংশীদার। আমরা অনুরোধ করব, শ্রমিকদের নামে কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের রাস্তাঘাটে ভাঙচুর, শিল্পকারখানা, বাড়িঘরের ক্ষতি করতে না পারে। পুলিশ প্রশাসন যেন সার্বিকভাবে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ভাইদের বলতে চাই, অনেক দিন কষ্ট করেছেন, আরও একটু অপেক্ষা করুন। আপনাদের দাবি পূরণে সরকারকে অনুরোধ করব, দ্রুত যেন এর সমাধান করা হয় এবং শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়।
এ উপলক্ষে গাছা এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর-কোনাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে যে আন্দোলন শুরু করেছে, তা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। শ্রমিক সংগঠনসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে বোর্ডের কাছে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবি করেছে। এ নিয়ে বোর্ডে আলাপ-আলোচনা চলছে। আগামী ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভা অনুষ্ঠিত হবে। মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য মজুরি ঘোষণা করবেন। এ সময়ে শ্রমিকরা কারখানার কাজ বন্ধ রেখে অঘোষিত আন্দোলন এবং ভাঙচুর করলে মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুর ও নাশকতা করা যৌক্তিক আন্দোলনকে বিপথে চালিত করে। এ ব্যাপারে শ্রমিক ভাই ও বোনেরা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং কোনো বহিরাগত শক্তি যেন এর পিছনে ইন্ধন জোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষই মজুরি প্রস্তাবনা দিয়েছে, এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি। সেহেতু আমরা আশা করি, বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি সম্মানজনক মজুরি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবির ন্যায্যতা পাবে।
মন্তব্য করুন