২০১৩-১৪ সালের সাতক্ষীরা আর বর্তমান ২০২৩ সালের সাতক্ষীরার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এজন্য কলঙ্কিত ১৩-১৪ সালকে মনে রাখতে চায় না সাতক্ষীরাবাসী। যারা শান্ত সাতক্ষীরাতে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ‘পুলিশ জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বাবলা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমানউল্লাহ আল হাদী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
এ সময় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজিব সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের জানমাল রক্ষা করা পুলিশের দায়িত্ব। সেই দায়িত্বকে আরও শিথিল করেছে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি। শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে এই কমিটি থাকাতে এখন ছোটখাটো যে কোনো বিষয় পুলিশিং কমিটির মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
২০১৩-১৪ সালে সাতক্ষীরাতে জামায়াত-শিবিরের নারকীয় তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, একটা সময় সাতক্ষীরা মানে আতঙ্ক ছিল। ওই সময় এ জেলাতে স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে অনেক মানুষের প্রাণ হারাতে হয়েছে। তারা আবারও নতুন করে হত্যার মিশনে নেমেছে। যার উদাহরণ গত ২৮ অক্টোবরে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনা। এজন্য সাতক্ষীরাবাসী কলঙ্কিত ২০১৩-১৪ সালকে মনে রাখতে চায় না। বরং যারা সাতক্ষীরাতে পুনরায় কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে এ জেলার মানুষদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আয়োজনে সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন