সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের মদনপুর এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে বিএনপি কর্মীরা। বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে পুরাতন বাসস্টেশনেও ঝটিকা মিছিল করে আরও দুটি যানবাহন ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুর এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে হঠাৎ করেই শতাধিক নেতাকর্মী এসে জড়ো হন। কয়েক মিনিট স্লোগান দিয়েই সড়কে থাকা দুটি বাস ও দুটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি পিকআপভ্যান ভাঙচুর করে দিরাই-জামালগঞ্জ সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গাড়ি ভাঙচুরের সময় বিএনপি কর্মীদের হাতে লাঠিসোটাও ছিল। জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলসহ জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। যানবাহন ভাঙচুরের সময় আশপাশে থাকা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকানিরা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন বললেন, অবরোধ চলছে, চলবে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, একই সময়ে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোনাজ্জির সুজন এবং ছাত্রদলের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে আরেকটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা একটি সিএনজি ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ আসলেও মিছিলকারীরা দ্রুত জামতলা ও আরপিন নগরের ভেতর দিয়ে চলে যায়।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বললেন, যানবাহন ভাঙচুরকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) এ নিয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন