ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল কলাপাড়ায় বৃষ্টি পড়ার সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ঢেউ বাড়ছে। মেঘলা আকাশ, সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ৭নং বিপদ সংকেত উপেক্ষা করে পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি করছে। ছোট ছোট বাচ্চারা মেতে উঠছে সৈকতে। কেউ ছবি তুলছে, সাতার কাটছে, কেউ ফুটবল খেলায় মেতে উঠেছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওন ও নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা পর্যটকদের নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আমলে নিচ্ছে না কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।
সৈকতে বসে গোসল করছেন রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা আরবার। তিনি বলেন, গতকাল বেড়াতে আসছি কুয়াকাটায়। এখন ৭নং সংকেত। ভয় লাগছে, তবুও সমুদ্রে গোসল করতে ভালো লাগছে।
ঢাকারা গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক মো. আল-আজাদ বলেন, আবহাওয়া খারাপ, তবুও সৈকতের ঢেউ মন কেড়ে নেয়। তাই আমি কুয়াকাটা সৈকতে বসে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ করছি।
সোহেল নামে আরেক পর্যটক বলেন, সৈকতের সৌন্দর্য আমাকে বিমোহিত করেছে, তাই উপভোগ করছি। সমস্যা দেখলে হোটেলে চলে যাব।
এদিকে সৈকতনির্ভর ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছে। গত দুদিন ধরে তেমন পর্যটক না আসায় অলস সময় পার করছে তারা।
ফটোগ্রাফার আলআমিন বলেন, আবহাওয়া, রাজনৈতিক অবস্থা খারাপও হলে শুরুতে ধাক্কাটা পড়ে আমাদের পেটে। গত দুদিন ধরে কোনো ছবি তুলতে পারিনি। হাতে গোনা কিছু পর্যটক আছেন, তারা ছবি তুলছেন না। তাই অলস সময় পার করছি।
চা বিক্রেতা আনছার উদ্দিন বলেন, বেচাকেনার কোনো কর্ম নাই। বসে বসে সময় পার করছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু বলেন, আমরা সদা প্রস্তুত থাকি পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে। গতকাল থেকেই আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাইকিং করছি এবং তাদেরকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করুন