নবান্ন উৎসব ঘিরে বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাছের মেলায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। মেলায় ঢুকতেই সারি সারি দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে মন জুড়ানো সব মাছের পসরা। পাশেই শীতকালীন হরেক রকমের সবজি ও দই-মিষ্টির দোকান।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নবান্ন উৎসব ঘিরে উপজেলার ৫টি এলাকায় বসেছে মাছের মেলা। সারি সারি দোকানে চিতল, বাঘা আইড়, বোয়াল, কাতলা, সিলভার কার্প, রুই, ব্রিগেডসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কেউ কেউ বড় মাছ দেখতে আসছেন, আবার কেউ কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ বছর মেলায় বড় মাছ থাকলেও চাহিদা কম। নিম্নআয়ের মানুষরা মেলায় ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মাছ কিনছেন।
সুকুমার চন্দ্র নামের একজন ক্রেতা বলেন, বাড়িতে মেয়ে এবং জামাই এসেছে। নবান্ন উৎসব ঘিরে গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে চলে নানা আয়োজন। মেলা থেকে কেনা বড় মাছ ও নতুন আলুসহ সবজি কিনে প্রতিটি বাড়িতে চলে রান্নার ধুম আর আপ্যায়ন।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। মাছ আর নতুন চালের ভাত খাওয়াতে গ্রামের মানুষ তাদের মেয়ে ও জামাইদের দাওয়াত করেন। অনেকে শহরে বসবাস করেন, নবান্নে তারাও গ্রামের বাড়িতে আসেন।
মাছ বিক্রেতারা জানান, ক্রেতারা বড় মাছের দাম শুনছেন আর কিনছেন মাঝারি মাছ। কয়েকটি দোকানে নদী ও সামদ্রিক মাছ বেচাকেনা হয়েছে। এ বছর মেলায় বড় মাছের চাহিদা কম।
এ বছর উপজেলার রণবাঘা, ওমরপুর, কড়ইহাট, নাগরকান্দি ও ধুন্দার বাজারে মাছের মেলা বসেছে। জেলে থেকে শুরু করে মাছের খামারি ও মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ নিয়ে মেলায় আসেন। কাকডাকা ভোর থেকেই মেলায় ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মেলায় ছোট ব্রিগেড ও সিলভার কার্প ১৮০ টাকা এবং বড় ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই ও কাতলা কেজিতে ২৪০ থেকে ৭০০ টাকা, চিতল মাছ ওজনভেদে কেজিতে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং ৪৫ কেজি ওজনের বাঘাআইড় মাছ ১৩শ টাকা কেজি দাম হাঁকানো হয়। তবে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা কেজি।
মন্তব্য করুন