বরিশালের আগৈলঝাড়ার পয়সাহাটের ২০০ বছরের পুরাতন পুকুরটি দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও পয়সারহাট কমিটির কথিত সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার ও বিএনপি নেতা রুবেল সিকদারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পুকুরের কিছু অংশে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার পয়সাহাটের একটি বাণিজ্যিক বন্দর। এই বন্দরের মাঝে ২০০ বছরের পুরাতন একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পয়সারহাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার ও স্থানীয় লালমিয়া শিকদারের ছেলে মো. রুবেল সিকদার মিলে দখল করে ওই পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করছে। সম্প্রতি তারা পুকুরে একটি অংশ দখল করে ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে। এখন আবার পুকুরেরে বাকি অংশ ৫ দিন ধরে তারা বালু দিয়ে ভরা করছে। বন্দরের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হক শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজার পরিচালনায় কোনো কার্যকরী কমিটি নেই। কমিটি না থাকার সুযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফিরোজ শিকদার দলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে। তার সাথে পয়সা গ্রামের লালমিয়া সিকদারের ছেলে স্থানীয় রুবেল সিকদারকে নিয়ে সম্প্রতি বন্দরের মধ্যে একটি পুকুর বালু ভরাট করেছে। এ ছাড়াও ফিরোজ সিকদার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ৩টি ঘর উত্তোলন করে।
স্থানীয় ছিদ্দিকুর রহমান শিকদার, আব্দুল মজিদ শিকদার ও বর্তমান মেম্বর হেমায়েত সিকদার সাংবাদিকদের জানায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফিরোজ শিকদার ও তার সহযোগী লালমিয়া সিকদারের ছেলে মো. রুবেল সিকদার মিলে ২০০ বছরে পুরাতন পুকুরটি পাঁচ দিন ধরে বালু দিয়ে ভরাট করে আসছে। এর পূর্বেও কিছু অংশ ভরাট করে তারা দোকানঘর নির্মাণ করছে। প্রভাবশালী হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চান না। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি পুকুরটি দখল মুক্ত করে পুনঃখনন করে ঐতিহ্য ধরে রাখা হোক। স্থানীয় বাকাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পয়সারহাট কমিটির সভাপতি বিপুল দাস বলেন, হাটের পুকুর ভরাট করছে, এমন খবর পেয়ে বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. ফিরোজ শিকদার সাংবাদিদের বলেন, লালমিয়া সিকদারের ছেলে মো. রুবেল সিকদারের ঘর রক্ষার জন্য আমার অজান্তে পুকুরে বালু দিয়ে ভরাট করছে। আমি জানার পরে তাকে বাধা দিয়েছি। এখন বালু ভরাট বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. রুবেল সিকদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। যারা ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন