রাজবাড়ী-২ আসনে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ইতিমধ্যে অনেক নেতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারই ধারবাহিকতায় এবার নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী-২ আসন (পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দি) উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক কালবেলাকে জানান, দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, নির্বাচন অবশ্যই উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে হবে। আমি মনে করি, দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত।
তিনি বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দলের পক্ষ থেকে নেতাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। সাধারণ ভোটাররা চায় আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, সেজন্য তাদের চাপের কারণে আমাকে বাধ্য হয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলেছেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর এ ঘোষণার পর থেকেই রাজবাড়ী-২ আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান কালবেলাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দল রয়েছে। এবারো এ আসনে একাধিক প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিল।বর্তমানে এখানে নৌকার এমপি থাকলেও বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারে আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস কালবেলাকে জানায়, রাজবাড়ী-২ আসন থেকে মোট মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন ৬ জন। এদের মধ্য আওয়ামী লীগ-১, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী-১ ও অন্যান্য দলের মধ্যে ৪ জন।
প্রসঙ্গত, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন