আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজার হাজার মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা সিক্ত হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ। মাঠ জরিপে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন রাজ্জাক খান রাজ।
এম এ রাজ্জাক খান রাজ বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তুলেছেন। একইসঙ্গে তিনি একজন উদার ও মহানুভব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি করোনা মহামারি ও লকডাউনের সময় নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পৈতৃক নিবাস খান মঞ্জিলকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছিলেন যেখানে এখনো ফ্রিতে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ফ্রি অক্সিজেন সেবাসহ ঘরবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, আলু, নগদ টাকা ও করোনাভাইরাস মোকাবিলার বিভিন্ন উপকরণ মানুষের মাঝে বিতরণ করে পেয়েছিলেন একজন জনদরদি নেতার খেতাব।
তার চিন্তা ও চেতনা সমাজের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার। তিনি সর্বদা এলাকার উন্নয়নের চিন্তা করেন ও সেই উদ্দেশ্যে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের কাছে একজন নিঃস্বার্থ এবং ত্যাগী নেতা হিসাবেই পরিচিতি লাভ করে আসছেন। তাকে নিয়ে এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখেন, তাকে নিয়ে মানুষ মহান আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করেন। চুয়াডাঙ্গাবাসী বিশ্বাস করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ এমপি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্রের সকল বরাদ্দের সুষম বণ্টন হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসন একটি বেকারত্ব, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতি ও দুঃশাসন মুক্ত স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলা। কারণ তার স্বপ্ন চুয়াডাঙ্গা জেলাকে স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম ও আছি। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সফল করতে, আমার এলাকার মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, সাধারণ মানুষের দাবির মুখে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হয়েছি। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষ পরিবর্তন চায়, তারা এলাকার উন্নয়ন চায়, তারা আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আমি দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হব বলে বিশ্বাস করি। আমি নৌকার বিপক্ষে নই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাই আমি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।’
এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে কিছু মহল, তারা চাচ্ছেন মিথ্যা গুজব ও তথ্য ছড়িয়ে আমার জনপ্রিয়তা হ্রাস করতে। কিন্তু এ সকল মনগড়া মিথ্যা গুজব দিয়ে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না, আমি চুয়াডাঙ্গার জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
দলমত নির্বিশেষে এলাকার সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ যে প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করুন না কেন, বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ তিনি কর্মীবান্ধব নেতা, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন, তার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, তিনি গরিব দুঃখীদের পাশে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সর্বোপরি, তিনি ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক মতাদর্শের আলোকে বড় হয়েছেন, তাই তার মাঝে একজন আদর্শ নেতার ভাবমূর্তি বিদ্যমান।
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের ইমদাদুল হক বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ একজন ভালো মনের মানুষ, তিনি করোনাভাইরাসের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে চিকিৎসাসেবা অক্সিজেন সরবরাহ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে নজির স্থাপন করেছেন, তিনি এমপি না হয়েও এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
জেহালা ইউনিয়নের গচড়াপাড়া গ্রামের পারভেজ বলেন, ‘আমার প্রথম ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজকেই দেব কারণ রাজ্জাক খান একজন যোগ্য প্রার্থী, রাজ্জাক খান এমপি হলে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ও বেকারত্ব দূর হবে।’
মন্তব্য করুন