দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দিনাজপুরে তাপমাত্রা আরও কমলো, এলো দুঃসংবাদ

দিনাজপুরে কুয়াশায় ঢাকা সড়ক। ছবি : কালবেলা
দিনাজপুরে কুয়াশায় ঢাকা সড়ক। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে জনপদ। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জবুথবু অবস্থা মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণির। সে সঙ্গে হাড়কাঁপা শীতে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সপ্তাহে আসছে শৈতপ্রবাহ।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৯টায় জেলায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েক দিন আরও তাপমাত্রা কমার আশঙ্কা রয়েছে। রোববার বা সোমবার জেলায় মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ডিসেম্বর মাসে জেলায় দুই থেকে তিনটি শৈতপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ হয় ঘন কুয়াশা। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। তারপরও বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

হাড়কাঁপা শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। আয় উপার্জনে পড়ছে ভাটা। শীতের কারণে ঠিকভাবে কাজে যেতে পারছেন না অনেক শ্রমজীবী মানুষ। পেটের তাগিদে মোটা জামাকাপড় আর কেউ কাথা কম্বল শরীরে জড়িয়ে জেলা শহরের সষ্টিতলায় শ্রম বাহারে আসছেন। কিন্তু বেলা বাড়ার পরেও অনেকে কাজ না পেয়ে শ্রম বাজারে বসে থেকে বাড়ি ফিরছেন।

কাজের আশায় সষ্টিতলার শ্রম বাজারে অপেক্ষামাণ বিরল উপজেলার পলাশবাড়ি এলাকার আল আমিন আলী বলেন, বয়স বেড়ে যাওয়ায় সকালে ঠান্ডায় বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। দেরিতে আসায় তিনি কাজ পায়নি।

একই কথা জানালেন দক্ষিণ কোতোয়ালির মোস্তাকিম। তিনি বলেন, ‘কাজে না আসিলে উপার্জন হয় না। খালি হাতে বাড়ি ফিরিতে হয়। আবার এই ঠাণ্ডায় সকালে বাড়ি থেকে বাইর হওয়াটাও মুশকিল। হামার গরিবের কোনো উপায় নাই। হামার মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এখন খুবই কষ্টকর।’

এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বড় ময়দানের হকারর্স মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকান, বিপণিবিতানে বিক্রি বেড়েছে গরম কাপড়ের।

আবার ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালসহ হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

অন্যদিকে আলু এবং আগাম বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘কুয়াশা বেশি হওয়ায় ক্ষেতে থাকা আলু এবং আগাম রোপণ করা বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। বেশি শীত পড়লে আলুর গড়া পচা ছত্রাক রোগ এবং বীজতলা চারা বিবর্ণ হয়ে যাবে। এভাবে চললে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি

এলোপাতারি কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

ক্যাশমেমো নেই, খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দাম কাঁচামালে

রামপুরায় ভবনের ৬ তলা থেকে পড়ে রডমিস্ত্রির মৃত্যু

কুড়িয়ে পাওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ভ্যানচালক

বুড়িগঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধার / ৪ জনকেই হত্যা করা হয়েছে, ধারণা পুলিশের

ওসির বদলির খবরে মোহাম্মদপুর থানার সামনে মিষ্টি বিতরণ স্থানীয়দের

বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন 

সিপিএলে ইতিহাস গড়ে ফ্যালকনসকে জেতালেন সাকিব

নতুন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন / মাত্র ১০০ টাকায় করা যাবে দক্ষতা, চাকরি কিংবা ভর্তি প্রস্তুতির কোর্স

১০

সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই ঢালাই সম্পন্ন 

১১

বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১২

টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবির ভিসি

১৩

৬৪ জেলার নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি

১৪

ম্যানইউর জয়হীন ধারা অব্যাহত, এবার ফুলহামের মাঠে ড্র

১৫

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা-পেশাজীবীদের নিয়ে ‘আগামীর পথ’ অনুষ্ঠিত

১৬

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অনন্য কীর্তি

১৭

জুলাই যোদ্ধা শহীদ তানভীরের চাচা খুন

১৮

ভরা জোয়ারে ডুবে যায় বিদ্যালয়, শঙ্কায় অভিভাবক-শিক্ষার্থী

১৯

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

২০
X