বগুড়ার তিনটি আসন শরিক দলকে ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একারণে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীতরা প্রার্থিতা হারানোর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধির পদও হারিয়েছেন। ওই দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং অন্যজন ছিলেন পৌর মেয়র। ভোটে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে জনপ্রতিনিধির পদ থেকে পদত্যাগ করে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের পদ ছেড়ে দলীয় মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে। জনপ্রতিনিধি পদ হারানো ওই দুই নেতা হলেন- বগুড়ার আদমদীঘী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু এবং শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক।
রাজু বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসন থেকে এবং মানিক বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তারা নির্বাচনী সংযোগও শুরু করেছিলেন। সর্বশেষ কেন্দ্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ওই দুই আসন জাতীয় পার্টিকে এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন শরিক দল জাসদকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একারণে ওই দুজন এবং বগুড়া-৪ আসন থেকে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
যোগাযোগ করা হলে আদমদীঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। দল যা ভাল মনে করেছে সেটাই সঠিক। উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আবারও অংশ নেবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন- সময় ও পরিস্থিতি সেটা বলে দিবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোন কথা থাকতে পারে না। দলীয় প্রধান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমরা সকলেই মেনে নিয়েছি। উপনির্বাচনে পৌর মেয়র পদে আবারও দাঁড়াবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটাও দলীয়ভাবেই নির্ধারণ করা হবে। দল চাইলে নির্বাচন করব, আর দল না চাইলে করব না।
মন্তব্য করুন