লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী ও কালীগঞ্জ) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক। পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন।
ভোটাররা বলছেন, হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এগিয়ে রয়েছেন। তবে তার সাথে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজুল হক। অপরদিকে দীর্ঘদিন দখলে রাখা জাতীয় পার্টির এবারের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেনের জয়ের আভাস লক্ষ্য করছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারে নির্বাচনী আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো বাধা প্রয়োগ না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের বিজয়েরও অনেক সম্ভাবনা। তবে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করে ভোটারদের মন জয় করেছেন। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী তার ধারে কাছে আসতে পারবে না বলেও ভোটাররা মত দেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের যথেষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে। তার কর্মীদের আশা বিপুল ভোটে বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে পরাজয় বরণ করে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে নিবেন তারা। (কালীগঞ্জ ও আদিতমারী) উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট-২ আসন। জাতীয় সংসদের ১৭তম আসন এটি। ভোটার ৪ লাখ ১ হাজার ৬৫৭। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১৫১ জন এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ৫০৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে লালমনিরহাট-২ আসনে জয় পান জাতীয় পার্টির মজিবর রহমান। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে আসনটিতে জয় পান বিএনপির সালেহ উদ্দিন আহমেদ হেলাল। একই বছরের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আসনটি আবার দখলে আনেন জাতীয় পার্টির মজিবর রহমান। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটিতে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির মজিবর রহমান। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রথমে তিনি খাদ্য প্রতিমন্ত্রী পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কালীগঞ্জ আদিতমারী উপজেলায় শতভাগ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতাসহ রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, ব্রিজ কালভার্টসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। তিনি এবারের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে এলাকায় জনসংযোগ করছেন। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও দুবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, ঈগল প্রতীকে ব্যাপক হারে দৌড়ঝাঁপ মিছিল মিটিং করে হাড্ডাহাড্ডি অবস্থানে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় লালমনিরহাট-২ আসনে নানা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি এবং আরও উন্নয়ন কর্ম চলমান রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে অবশ্যই চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন