খুলনায় হঠাৎ শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
খুলনাসহ আশপাশের এলাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। হঠাৎ শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ায় শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে ঠান্ডাজনিত কারণে রোগীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, অক্টোবর থেকে ঠান্ডাজনিত কারণে রোগী আসছে। গত কয়েক দিন শীত বাড়ায় শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশ বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য মেডিসিন ওয়ার্ডেও বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দিজ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বহু রোগী আসছেন হাসপাতালে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন রায় জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ায় ঠান্ডাজনিত কারণে মানুষের রোগবালাইও বেড়েছে। মৌসুমী এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে জরুরি বিভাগে আসছেন অভিভাবকরা। রোগের ধরন বুঝে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া বা সিনিয়র কনসালট্যান্টের কাছে রেফার করা হচ্ছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫শ বেডের বিপরীতে ১ হাজার ৬শ এর বেশি রোগী ভর্তি। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগী আসে প্রায় ১ হাজার ৫শ।
বহির্বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এমনিতে শীতকালে অন্যান্য রোগের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও শীতকালীন ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ এখন বেশি। এছাড়া খুলনা শিশু হাসপাতালে বেডের বাইরে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হয় না। আড়াইশ শয্যার হাসপাতালে রোগী ভর্তি করার কোনো সুযোগ নেই। একটি রোগী ছুটি না হলে অন্য রোগী ভর্তি করা যায় না।
শিশু হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বহির্বিভাগের বিভিন্ন জায়গা এবং টিকিট কাউন্টারে লেখা রয়েছে সিট খালি নাই। বহির্বিভাগে থেকে প্রতিদিন ভর্তি করাতে না পেরে চলে যাচ্ছেন অসুস্থ রোগীরা। এছাড়া খুলনা জেনারেল হাসপাতালেও বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. মুরাদ হাসান।
মন্তব্য করুন