ঢাকার আশুলিয়ায় ১৬ বছর আগে শান্তা ইসলামকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্বামী বেলাল হোসেন কাজী ওরফে সালমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নি এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. জহিরুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি সালমানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলা এজাহার থেকে জানা যায়, সালমান বাইপাইলস্থ সাইকেল স্টোরে আর শান্তা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তারা আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে ২০০৯ সালের ৫ জুন আশুলিয়ায় শান্তা ইসলামকে গলা টিপে হত্যা করেন সালমান।
এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা সার্জেন্ট (অব.) আব্দুল মান্নান ওইদিনই আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সালমানকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন আশুলিয়া থানার এসআই খন্দকার সামছুজ্জামান। ওই বছরের ৮ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায় দিলেন।
মন্তব্য করুন