পটুয়াখালীর বাউফলে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কনকদিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের হোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তোভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত মাদক কারবারি দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে আসছিল। এতে বাধা দেন স্থানীয় রিপন হাওলাদার। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রিপনকে মারধর করে মাদক কারবারিরা। আহত রিপন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে রাতে রিপনের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এ সময় রিপনের স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়ে আহত হন।
এর আগে ‘মৃত্যু ও সম্পদ নষ্ট করার হুমকি’ উল্লেখ করে ২৬ ডিসেম্বর রিপন হাওলাদার বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রিপন হাওলাদারের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় গতকাল বিকেলে সবুজ, আনোয়ার ও বাচ্চু আমার স্বামীকে মারধর করে। সে (রিপন) অসুস্থ অবস্থায় বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সবুজ, আনোয়ার ও বাচ্চুর নেতৃত্বে ৮-১০ জন লোক সন্ত্রাসী কায়দায় আমার বসত ঘরে হামলা চালায়। এ সময়ে তারা আমাকে ও আমার মেয়েকে মেরে স্টিলের আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও সোনার চেইন নিয়ে যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাচ্চু মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার বলেন, আমি যতটুকু জানি রিপন ও বাচ্চুর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। সহকারী পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমি এবং স্থানীয় আরেক ব্যক্তি সালিশ করে দেই। রিপন সালিশ মানেনি এবং বাচ্চুকে জমি বুঝিয়ে দেয়নি। এটা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
এ বিষয়ে বগা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বাদল কৃষ্ণ বলেন, খবর পেয়ে আমরা গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরদির্শন করে রিপন হাওলাদারকে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন