দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুটি সংসদীয় আসনে ২৫৪ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৮৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (পুলিশের ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ)। বাকি অপর ৬৫টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহিৃত করেছে পুলিশ। এ দুইটি আসনের মধ্যে জেলার ১নং আসনের (সদর ও পাঁচবিবি) ১৫১টি ভোটকেন্দ্র। সদর উপজেলার ৬০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২২টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার ৫৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৬টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।
জেলার ২নং আসনে (কালাই, ক্ষেতলাল ও কালাই) ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০৩টি। কালাই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৭টি এবং সাধারণ ১০টি, ক্ষেতলাল উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ ২৪টি এবং সাধারণ ৬টি কেন্দ্র। অপর দিকে আক্কেলপুর উপজেলার ঝুুঁকিপূর্ণ ২৫টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র ১১টি বলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারির এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার দুটি সংসদীয় আসনে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার এবং গ্রামপুলিশসহ প্রায় ২ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ন করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, নির্বাচনে পুলিশ, সেনা বাহিনীসহ প্রায় ২ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরক্ষেপ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। শতভাগ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। জেলার ১নং আসনে ১৬০ এবং ২নং আসনে ১২০ জন সেনা সদস্যের দল সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে।
জয়পুরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, ভোটের দিন (৭ জানুযারি) খুব ভোরে ব্যালট পেপার কঠোর নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। ঢাকা থেকে জয়পুরহাট নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উপসচিব খাদিজা তাহেরা ববি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আকতারুন নেছা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন জেলার দুইটি সংসদীয় আসনে।
মন্তব্য করুন