দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিন ও রাতে তাপমাত্রা বাড়ালেও তীব্র শীত আর হিম বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছেন নিম্নবিত্তসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারগুলো। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একটু বাড়লেও হাড় কাঁপানো শীত, ঘনকুয়াশাসহ হিম বাতাস অব্যাহত আছে।
সোমবার (৮ জানুুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ছিল ০২ নটস।
এদিকে রোববার (৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ছিল ০৪ নটস। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে সন্ধ্যার পরপরই ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা। সামান্য দূরের বস্তুকে দেখা যায় না কুয়াশার জন্য। মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বৃষ্টির মতো ঘনকুয়াশা ঝরা। সঙ্গে থাকছে উত্তরের হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকার ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিম বাতাসের জন্য তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল। তবে ঘনকুয়াশার জন্য সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল যানবাহনকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করা হয়েছে।
ঘনকুয়াশা সাথে হিম বাতাসে জন্য দিনমজুর ও ক্ষেতমজুররা কাজ করতে পারছেন না। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে মাঠেঘাটে কাজ করতে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
মাইক্রোবাসচালক মাজেদুর রহমান বলেন, ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের কারণে ভাড়া তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া পাওয়া গেলেও কুয়াশার জন্য অত্যন্ত সাবধানে ধীর গতিতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেল বেশি খরচ হচ্ছে।
রিকশাচালক আফজাল হোসেন বলেন, কুয়াশা আর হিম শীতল বাতাসের শীতের জন্য রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় রিকশা নিয়ে থাকলেও যাত্রী মিলছে না। এ কারণে সকাল সকাল রাস্তায় না এসে সকাল ১০টার পর আসতে হচ্ছে। এতে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সোমবার (৮ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আদ্রতা ৯৬ শতাংশ ও বাতাসের গতি ২ নটস রেকর্ড করা হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ১৬০ টি কম্বল অসহায় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন