দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-১ (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি) আসনে প্রার্থীর জামানতের টাকা হারালেন পাঁচজন এমপি প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। তাহলে সেই এমপি প্রার্থীর জামানত হারাবে না। ইসির সেই নিয়ম অনুযায়ী জয়পুরহাট-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন পাঁচ এমপি প্রার্থী।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম পাঁচ এমপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একজন প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু এ প্রার্থীরা সেই শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
ইসির বিধি অনুযায়ী জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবির আসনে যেসব এমপি প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়েছেন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মাসুম সোনালি আঁশ প্রতীকে ৪৭০ ভোট পেয়েছেন, ন্যাশলাল পিপলস পার্টির প্রার্থী রুকুনুজ্জামান আম প্রতীকে ৫০৯ ভোট পেয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম রায়হান মন্ডল মনু ট্রাক প্রতীকে ৬ হাজার ৬২৬ ভোট পেয়েছেন ও আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জহুরুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে ৫ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়েছেন।
জয়পুরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী আলহাজ অ্যাড. সামছুল আলম দুদু ৯৬ হাজার ১ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটে টানা তিনবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্ল্যা কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট।
জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবির আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবির আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। এ আসনে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৭১ ভোট। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৭২৯। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০। প্রদত্ত ভোটের হার শতকরা ৩৭ শতাংশ। জয়পরহাট সদর ও পাঁচবিবির আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৫১টি।
মন্তব্য করুন